দুঃসাহসী টম সয়্যার মার্ক টোয়েন/রকিব হাসান নীরব, নিঝুম রাত। আকাশে তারার ঝিকিমিকি। সামনে বিছিয়ে আছে নদীর কালো পানি। কান খাড়া করে শুনল টম। কোনও সাড়া নেই কোথাও। ‘কে যায়?’ “টম সয়্যার, স্প্যানিশ মেইনের কালো প্রতিহিংসা। তোমরা? লাল পাঞ্জা হাক ফিন আর সাগরের আতঙ্ক জো হারপার। সংকেত? ‘রক্ত।‘ বাউন্টিতে বিদ্রোহ চার্লস নর্ডহফ ও জেমস নরম্যান হল/নিয়াজ মোরশেদ নভেম্বর আটাশ, সতেরোশো অষ্টাশি। হিজ ম্যাজেস্টিজ শিপ বাউন্টি রওনা হলো দক্ষিণ সাগরীয় দ্বীপ তাহিতির পথে। কয়েক দিনের মধ্যেই অসন্তোষের বীজ রোপিত হলো নাবিকদের মনে। কয়েকজন নাবিকের সহায়তায় বিদ্রোহ করে জাহাজ দখল করে নিল মেট ফ্লেচার ক্রিশ্চিয়ান। ক্যাপ্টেন উইলিয়াম ব্লাইকে আঠারোজন সঙ্গীসহ ছোট একটা নৌকায় ভাসিয়ে দেয়া হলো খোলা সাগরে… সত্য ঘটনা অবলম্বনে অবিস্মরণীয় এক উপন্যাস। ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক আলেকজান্দার দ্যুমা/নিয়াজ মোরশেদ শুয়ে আছেন রাজা লুই। হঠাৎ দুলে উঠল বিছানা। না, স্বপ্ন নয়, সত্যিই নড়ে উঠেছে বিছানাটা। ধীর গতিতে নিচে নেমে যাচ্ছে পালঙ্ক। মৃদু একটা ঝাঁকুনির সাথে থেমে গেল পালঙ্ক। রাজা দেখলেন, খাটের তিনদিকে দাঁড়িয়ে আছে ভয়ঙ্কর তিন মুখোশধারী। ‘…ফ্রান্সের রাজাকে নিয়ে কী করতে চাও তোমরা? জানতে চাইলেন রাজা। জবাব এল, তুমি আর রাজা নও।
"রালফ, জ্যাক ও পিটারকিন আবিষ্কার করে এক লোকের কঙ্কাল। পাশে পড়ে আছে একটি কুড়াল। এই অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়ে যায় তারা। এই প্রবাল দ্বীপে তাদেরও কি লোকটার মতো অবস্থা হবে? রালফের বংশের প্রায় সবাই নাবিক। রালফও জাহাজে যেতে চায়। শেষ পর্যন্ত রাজি হয় বাবা-মা। জাহাজে পরিচয় হয় জ্যাক ও পিটারকিনের সঙ্গে। দুজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। প্রবাল দ্বীপের কাছাকাছি গিয়ে তাদের জাহাজ প্রচণ্ড ঝড়ের সম্মুখীন হয়। তছনছ হয়ে যায় নিমেষেই। ক্যাপ্টেন ও অন্যান্য লোকজনের কোনো চিহ্ন পায় না রালফরা। তিনজন আশ্রয় নেয় প্রবাল দ্বীপে। শুরু হয় বেঁচে থাকার লড়াই। তারা কি প্রবাল দ্বীপে টিকে থাকতে পারবে? নাকি মারা পড়বে না খেয়ে বা মানুষখেকোদের কবলে পড়ে? জানতে হলে পড়তে হবে বিখ্যাত এই উপন্যাস। "