বিশ্বখ্যাত দুই মহাকাব্য—ইলিয়াড এবং ওডেসি। এই দুই মহাকাব্যের কতটুকু ইতিহাস-নির্ভর? আর কতটুকুর জন্ম হয়েছে মানব কল্পনার গহীন থেকে? যদি কল্পনাই হয়ে থাকে, তাহলে কেন বরফের রাজ্যে আটকা পড়া আরব বজরায় পুরাণের দানোদের হাতে খুন হতে হবে একজন বিজ্ঞানীকে? যদি বাস্তব হয়, তাহলে কোথায় সেই সাইক্লপস? কোথায় সারবেরাস? মিনেটর? অন্য সব দানো? বজরা-রহস্য সমাধানে গ্রিনল্যান্ডে গিয়ে অপহৃত হলো ড. ইলেনা কারগিল। আরেকটা পরিচয় আছে ওর—সে সিনেটর কারগিলের মেয়ে। বান্ধবীকে উদ্ধার করতে সেখানে পা রাখল মারিয়া, সঙ্গে কোয়ালস্কি। ওদের সঙ্গে যোগ দিল গ্রে এবং শেইচানও। বনু মুসা নামের রহস্যময় এক সঙ্ঘ দেখা দিল দৃশ্যপটে। ওদের ধারণা-ওডিসিয়াসে বর্ণিত গল্পের অনেকটাই সত্যি। মহাপ্রলয়কে ত্বরান্বিত করার মানসে সেই দানবদেরকে হাতে পেতে চায় তারা। মুখোমুখি দুই আদর্শ নিয়ে খাড়া হলো সিগমা আর বনু মুসা। কিন্তু গ্রেরা জানে না, এই নাটকের রয়েছে আরো অনেক কুশীলব। টারটারাস কি সত্যি? নাকি হোমারের কল্পনা? সেই প্রশ্নের উত্তর লেখা আছে দ্য লাস্ট ওডিসির পাতায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাৎসরিক সম্মেলনের ঠিক দুই দিন আগে মারা গেল তরুণ বাঙ্গালি বিজ্ঞানী উমা চক্রবর্তী। মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই সে জানিয়েছিল, চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পাল্টে দেবার মতো এক আবিষ্কার করেছে। খুন কি হতে হলো সেজন্যই? ঘটনাচক্রে জড়িয়ে পড়ল বর্তমানে নামকরা এক গবেষণা সংস্থার সাথে জড়িত থাকা রাফসান ইবনে সেলিম। উমা চক্রবর্তীর বান্ধবী, নিয়তিকে নিয়ে শতাব্দী পুরাতন, কিন্তু প্রায় অজানা এক কিংবদন্তির পেছনে ছুটে পাড়ি জমাল সুন্দরবনে। উমার হত্যাকারীকে পাকড়াও করলেই হবে না, সেই সাথে পুন:আবিষ্কার করতে হবে সেই সঞ্জীবনী ওষুধটাও। এদিকে দুই বিজ্ঞানীর পেছনে লেগেছে রহস্যময় এক সংঘটন-অহিংশ। লেলিয়ে দিয়েছে তাদের নৃশংস আততায়ীকে। কেঁচো খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এলো সাপ! বাংলাদেশের বুকে মঞ্চায়িত হচ্ছে শুভ আর অশুভের দ্বন্দ্ব!
অঙ্গভ্রম: কক্সবাজারের রহস্যঘেরা এক রিসোর্টের হ্যানিমুন স্যুইটে পাওয়া গেল একটা লাশ। বড় অদ্ভুত সেই হত্যাকান্ড, ছুটি কাটাতে কক্সবাজার এসে কীভাবে কীভাবে যেন তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল রাফসান ইবনে সেলিম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে লোকটির। কিন্তু তার চাইতে অদ্ভুত ব্যাপার-লাশের পাশে পড়ে আছে একটি কাটা পা! কেন খুন হতে হলো তাকে? প্রখ্যাত এক এন.জি.ও.এর কর্মকর্তা ছিল ভিক্টিম, সেই সংস্থা সংক্রান্ত কিছু কি? নাকি ব্যাপারটা মাদক সম্পর্কিত? রহস্যের জাল ছিঁড়তে উঠে-বসে লাগল রাফসান। নিঠুর খেলা: বসের চাপে পড়ে রাজি হয়ে গেল সাব্বির। পরামর্শক হিসেবে যাবে ও গাজিপুর; বাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন ছবি ‘নিঠুর খেলা’-এর, পুলিসি কর্মকাণ্ডগুলোর ব্যাপারে দেবে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। তবে এই রাজি হবার পেছনে রয়েছে আরও কারণ। জীবন থেমে থাকে না। তাই ডন ওয়াসার পর শিকদার হয়ে এখন অপরাধ জগতের হর্তা-কর্তা হয়েছে ‘কান কাটা ফারুক’, ধারণা করা হয় যে অহিংশের সরাসরি লোক সে। সেই কান কাটা ফারুকের সংশ্লিষ্টতা আছে এতে। সেটে গিয়ে জানতে পারল সাব্বির-খুন হয়ে গিয়েছে ওর আগে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এক পুলিস অফিসার। খুনি সম্ভবত এই প্রোডাকশনের কেউ। একদিকে কান কাটা ফারুককে পাকড়াও করা, অন্য দিকে আইনের আওতায় আনা খুনিকে... দুটোই পারতে হবে... খুনি কিংবা অহিংশ, কাউকেই ছাড় দেবে না সাব্বির।
যুগে যুগে মানুষকে আকৃষ্টে করেছে তার চাইতে বড়, তার চাইতে বিস্তৃত এক শক্তি। কোনো সমাজে সেই শক্তির নাম জুপিটার, কোনো সমাজে অলিম্পিয়ান, কোনো সমাজে এইসির। প্রিয় পাঠক, আজ আপনাদের শোনাবো সেই এইসিরদের গল্প। যারা দেবতা হয়েও...ঠিক দেবতা নন। শোনাবো দানো কিংবা জতুনদের গল্প, যারা সৃষ্টির বিপক্ষের শক্তি হয়েও...ঠিক অশুভ নন। শোনাবো ওডিনের কিংবদন্তি...যিনি সর্ব-প্রথম, সর্ব-পিতা ও দেবপ্রধান। শোনাবো থরের নানা অভিযানের কথা...যার নাম শুনলে থর থর করে কেঁপে ওঠে প্রতাপশালী হিমদানোরা। শোনাবো লোকির চালাকির আখ্যান...অতি চালাকের গলায় দড়ি কথাটা সম্ভবত যার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খাটে। আর শোনাবো র্যাগনোরকের কথা...এই অন্তিম দিবস যা মহাবিশ্বে জন্ম দেবে নতুন এক চক্রের। এইসির-জতুন-থ্রাল-রিগ-এলফ-বামন-সিগার্ড-হেল... প্রিয় পাঠক, এদের গল্প শোনার জন্য প্রস্তুত তো?
সময় এখন... ...থমকে যাবার পথিক বেছে নেয় পথ... ...নাকি পথই বেছে নেয় পথিককে? রাশেদের কথা ভাবলে অবশ্য প্রথমটাই সত্যি বলে ধরে নিতে হয়। নিজের হাতে খোঁড়া কবরে শুয়ে যে স্বপ্ন দেখে শ্বশুরের মৃত্যুর। আবার যদি ভাবি আরিয়ানের কথা তাহলে মনে হবে, ওর ভাগ্যের পথ যেন পুতুল বানিয়ে ছেলে-খেলা করে বেচারাকে নিয়ে। চাচার রহস্যময় খুন যার সামনে খুলে দিয়েছে অমিত সম্ভাবনার দ্বার। কিন্তু কে এই এস.আই. সাব্বির? কেন দু’পাশে হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছে সে পথ আটকে? কেন বলছে উচ্চস্বরে: সময় এখন... ...থমকে যাবার!