হাজার বছর ধরে এক বস্মিয়কর সক্রিটে র্ফমুলা লুকিয়ে রাখা হয়ছে র্শালমেইেনরে কিংবদনত্মীতুল্য দাবার্বোড। প্রকৃতির নিয়মকে পাল্টে দেবার ক্ষমতা রাখে এটি-যেমন শক্তিশালী তেমনি বিপজ্জনক। দার্শনিক রুশো, ভলতেয়ার, আইজ্যাক নিউটন, ক্যাথারনি দি গ্রটে, গণতিবদি লিওনার্দো ফিবোনাচ্চ, পিথাগোরাস, সঙ্গতিজ্ঞ বাখ রশিলেু আর ফরাশি সম্রাট নেপোলিওন বোনার্পাতসহ ইতিহাসের অসংখ্য মহানব্যক্তিত্ব এই ফর্মুলার খোঁজে ছিলেন। ফর্মুলা করায়ত্ত করতে ফরাশি বিপন্ন আর আধুনকি সময়কালে সমান্তরালভাবে ঘটে চলছে দুটো ঘটনা। সইে দুটো ঘটনা একবন্দিুতে এসে মিলিত হয় অভাবনীয় রোমাঞ্চ আর গোলোকধাঁধাতুল্য অ্যাডভঞ্চোরের মাধ্যম।
২০১৯-এর বইমেলার শেষের দিকে নিজের গল্পগুলো এক মলাটে বন্দি করে `নিছক গল্প কিংবা আখ্যান' নামে প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু আমার কলকাতার প্রকাশক অভিযান পাবলিশার্সের মারুফ হোসেন এমন নামকরণে খুশি হতে পারেননি। বইটার ভূমিকা নিয়েও তার ছিল আপত্তি। ‘আপনি আপনার মতো গল্প লিখবেন...কৈফিয়ত দেবেন কেন!’--এমনই ছিল তার বক্তব্য। পরবর্তিতে গল্পগ্রন্থটি অভিযান থেকে প্রকাশ করার সময় তিনি জানালেন, ‘রহস্যের ব্যবচ্ছেদ অথবা হিরণ্ময় নীরবতা’ নামটি দিতে চাইছেন। আমি এককথায় রাজি হয়ে যাই, কারণ আমারও মনে হয়েছে, এই নামকরণটি যথার্থ, আগেরটার মধ্যে তাড়াহুড়ো কিংবা অতিরিক্ত বদান্যতার ছাপ ছিল হয়তো! যাই হোক, অভিযান থেকে গল্পগ্রন্থটি প্রকাশ হবার পর উপলব্ধি করলাম, একই গল্পগ্রন্থ ঢাকা এবং কলকাতা থেকে দুই নামে, ভিন্ন প্রচ্ছদে প্রকাশিত হবার কারণে পাঠকমহলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত নেই, পরবর্তী সংস্করণটি হবে একই নামে, একই প্রচ্ছদে। তবে এবার গল্পের ধারাক্রমে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে; পুরনো একটি গল্পের পরিবর্তে যোগ করা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে লেখা নতুন একটি গল্প। এই গল্পগ্রন্থে আমার পরিচিত গণ্ডী থৃলার ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের গল্প রয়েছে।
‘বিজ্ঞানের চেহারা চিরদিনের জন্যে পাল্টে দেবে’--এমন এক যুগান্তকারি ঘোষণার সাক্ষি হতে সিম্বোলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন স্পেনের বিলবাওয়ের অত্যাধুনিক গুগেনহাইম জাদুঘরে উপস্থিত হয়েছে। আর এই ঘোষণা দিতে যাচ্ছে তারই এক পুরনো ছাত্র, একচল্লিশ বছর বয়সি ধনকুবের, ফিউচারিস্ট এবং প্রযুক্তি দুনিয়ার প্রবাদপ্রতীম ব্যক্তিত্ব এডমন্ড কিয়ার্শ। তার আবিষ্কার এবং কিছু বক্তব্য আগেও আলোড়ন তুলেছে গোটা দুনিয়া জুড়ে । এমন কিছু উন্মোচন করতে যাচ্ছে সে যা কিনা উত্তর দেবে মানব অস্তিত্ববাদের দুটো প্রধান প্রশ্নের। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হতেই ল্যাংডন বুঝতে পারে ভীষণ বিতর্কের জন্ম দিতে যাচ্ছে এডমন্ডের আবিষ্কার। এসময় হঠাৎ করেই ঘোলাটে হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আবিষ্কারের কথাটা মুখেই থেকে যায় কিয়ার্শের। জাদুঘরের পরিচালক অ্যাম্ব্রা ভিদালের সাথে বিলবাও থেকে পালাতে বাধ্য হয় ল্যাংডন। বার্সেলোনার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় তারা একটি গোপন, সংরক্ষিত পাসওয়াডের্র খোঁজে, যেটা কিনা তাদের সাহায্য করবে কিয়ার্শের আবিষ্কার উন্মোচনে। ধর্মিয় ইতিহাসের পথে ল্যাংডন এবং ভিদালের এই অভিযানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ভীষণ শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষ, স্পেনের রাজসভা পর্যন্ত যার ক্ষমতা বিস্তৃত। এডমন্ড কিয়ার্শের আবিষ্কারকে কোনভাবেই প্রকাশ হতে দেবে না তারা। আধুনিক চিত্রকলা এবং কিছু গুপ্ত সংকেতের সহায়তায় ল্যাংডন কি পারবে এই আবিষ্কার উন্মোচন করতে? চরম সত্যের মুখোমুখি হতে? পাঠক, প্রফেসর ল্যাংডনের সাথে ইতিহাসের গলি-ঘুপচিতে ছুটে বেড়াতে আপনি কি প্রস্তুত আছেন?
এক ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক যখন মানহানির মামলায় সাজা পেয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিতভাবে অভিনব একটি প্রস্তাব আসে তার কাছে-ত্রিশ বছর আগের এক তরুণীর নিখোঁজ কেসটি তদন্ত করতে হবে। এক পর্যায়ে সমাজচ্যুত অদ্ভুত এক মেয়ে লিসবেথ সালান্ডারের সাথে পরিচয় ঘটে সাংবাদিকের। শুরু হয় দু’জনের তিন তিনটি ভিন্ন মিশন। টান টান উত্তেজনার অসাধারণ এই থৃলারটি বর্তমান বিশ্বে সবচাইতে বেশি বিক্রি হওয়া উপন্যাস।
রহস্যময় এক ডক্টর, নিজের চারপাশে রহস্য তৈরি করে রাখেন সব সময়। জাতীয় দৈনিকে অদ্ভুত একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দিলেন তিনি, প্রার্থি হিসেবে হাজির হলো মাত্র দু-জন। একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির সেই দুই তরুণ-তরুণীকে হতবুদ্ধিকর একটি রহস্য সমাধান করার ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ দেয়া হলো। তদন্তে নামতেই বোঝা তারা বুঝে গেলো ঘটনাটি যেমন প্রহেলিকাময় তেমনি অব্যাখ্যাত। বিজ্ঞান আর অতিপ্রাকৃতের দোলাচলে দুলতে লাগলো তাদের সমস্ত হিসেব-নিকেশ। সব কিছুর কি ব্যাখ্যা আছে? নাকি শেষ কথা বলে কিছু নেই? মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের মৌলিক-থৃলার উপন্যাস পেন্ডুলাম পাঠককেও দোলাচলে দুলতে দুলতে নিয়ে যাবে সেই রহস্যময়তার গভীরে।