প্রাসাদ বাড়ির রহস্য সদ্যপ্রয়াত এক পাগলাটে পরিচালকের উইলে পাওয়া গেছে অদ্ভুত এক ধাঁধা,ভেদ করতে পারলে মিলবে গুপ্তধন। রিয়াকে নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে প্রাচীন এক প্রাসাদ বাড়িতে ঢুকল অয়ন-জিমি। আধপাগল কেয়ারটেকার আর লোভী আত্মীয়ের দল ভিড় জমিয়েছে ওখানে, রয়েছে অদৃশ্য এক প্রতিপক্ষও। বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলল প্রাসাদ বাড়িরর আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াতে থাকা এক মৃত দাসী! তারপর? বিপদের ছয়টি আঙুল অদ্ভুত একটা হাতমোজা কুড়িয়ে পেল অয়ন আর জিমি- পাঁচটার জায়গায় ছ’টা আঙুল! কৌতুহলের বশে মালিকের খোঁজে বেরুতেই পড়ে গেল মহা বিপদে। প্রথমে এল হুমকি, তারপর আক্রমণ। কেউ একজন চাইছে না ওরা মানুষটাকে ওরা খুঁজে বের করুক। কারণটা কী? রোখ চেপে গেল দু’বন্ধুর, রহস্যটা ভেদ করেই ছাড়বে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে একটা হারানো মুকুট যে পুরো ব্যাপারটাকে এভাবে জট পাকিয়ে তুলবে, সেটা তদন্ত শুরুর সময় কল্পনাও করতে পারেনি ওরা! পাথরপিশাচ চমকে উঠলেন বৃদ্ধ হিউ মিচাম। তাঁর পাশের বাড়ির ব্যালকনিতে জ্যান্ত হয়ে উঠেছে একটা পাথরের তৈরি পিশাচমূর্তি! টিকটিকির মত ওঠানামা করছে দেয়াল বেয়ে। অবিশ্বাস্য! তদন্ত করতে গেল অয়ন-জিমি। আঁতকে উঠল রাত দুপুরে জানালায় গারগয়েলের মুখ দেখে। শুরু হয়ে গেল একের পরে এক রহস্যময় কাণ্ড। কে ঘটাচ্ছে একের পর এক রহস্যময় কাণ্ড? কেন?
দ্য বন্ডম্যান/সার টমাস হেনরি হল কেইন হতভাগিনী র্যাচেল বলে গেছে, ‘তোমার ওপর আমার শেষ আদেশ, হত্যা করবে তুমি স্টিফেনকে, ওর ছেলেকে। ওদের রক্ত ছাড়া আর কোনও কিছুতেই তৃপ্তি হবে না আমার আত্মার। শুনেছ? হত্যা করবে তুমি ওদের। হত্যা!’ বিবেকের টুঁটি চেপে ধরে বাবা আর সৎ ভাইকে হত্যার প্রস্তুতি নিল মাতৃভক্ত জেসন। আসুন, পাঠক, আমরাও যাই আইসল্যান্ড আর ম্যান দ্বীপে, দেখি সেখানে আসলে কী হচ্ছে। নীল অন্ধকার/ফ্র্যাঙ্কো পোলি আমি চলেছি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে, আর্নস্ট হেমিংওয়ের সেই নীল অন্ধকারের দেশে। তখনও জানি না ছোট্ট ডিঙি নিয়ে রাত-বিরেতে সাগরে যেতে হবে হাঙর শিকারে। বলুন তো, পাঠক, কোন্ তিমির পেটে আছে অসম্ভব দামি কস্তুরী? শুধু একটা ছোরা সম্বল করে লড়া যায় হাঙরের সঙ্গে? নৌকোর পাশে ভেসে উঠেছে বিশাল মান্টা রে! এখন? দি অ্যামফিবিয়ান ম্যান/আলেকযান্ডার বেলায়েভ সমুদ্রের সঙ্গে জড়িত সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল, আজব এক দানবের আবির্ভাব হয়েছে সাগরে। কী ঘটছে রহস্যময় ডাক্তার সালভাদরের বাড়ির চার দেয়ালের ভেতর? পুকুরের পানির তলায় বিশ্রাম নিচ্ছে কেন বানরটা? কেন হঠাৎ ডাকাতের আক্রমণ? কেন কী ঘটছে জানতে চাইলে বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম রুশ কল্পকাহিনী এই বইটি না পড়ে কোনও উপায় নেই।
ইংল্যাণ্ডের নটিংহাম শহরের কাছেই ছিল বিশাল শেরউড জঙ্গল। সেই জঙ্গলে আস্তানা গেড়েছিল দুর্দান্ত দুঃসাহসী এক মহৎ-হৃদয় দস্যু-রবিন হুড ও তার সাত- কুড়ি দুর্ধর্ষ অনুচর। অত্যাচারী নর্মান শাসক, ব্যবসায়ী মোহান্তদের প্রজা-নিপীড়ক আর অন্তরাত্মা জমিদার, অর্থ-লোলুপ কাঁপিয়ে অসৎ বিশপ- দিয়েছিল রবিন; কিন্তু আবার লুষ্ঠিত অর্থ দীন দুখীদের মধ্যে বিতরণের মাধ্যমে জয় করে নিয়েছিল সাধারণ মানুষের অন্তর। বিপদে সাহায্য চেয়ে কেউ কোনদিন ফিরে আসেনি তার দুয়ার থেকে। আসুন, লেখকের সাথে গিয়ে আমরাও ঘুরে আসি গভীর গহীন সেই শেরউড জঙ্গল থেকে।
আমি যুদ্ধে চলে যাচ্ছি। তোমাদের বললে তোমরা কিছুতেই রাজি হতে না। তাই না বলেই গেলাম। ২৫ মার্চ রাতে আমি নিজের চোখে মারা যেতে দেখেছি বাবুর আব্বাকে। দেখেছি, জগন্নাথ হলের মাঠে কীভাবে ছাত্রদের লাশ পড়ে ছিল। কীভাবে বস্তিতে আগুন দিয়ে বাচ্চা ছেলেমেয়েদেরও পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এরপর আর ঘরে থাকার কোনো মানে হয় না। তোমরা শান্ত থাকবে। এই চিঠি পুড়িয়ে ফেলবে। আমার জন্য দোয়া করবে। তমাল ও বন্যাকে আদর জানাবে। তোমাদের জন্য আমি দোয়া করব। যদি বাঁচি, ইনশা আল্লাহ দেশ স্বাধীন করেই ফিরব। তখন যদি বেঁচে থাকি, তাহলে দেখা হবে।