আমাদের জন্মগল্পের উপাখ্যান। কোন দূর গ্রামের এক নারী একদা তাড়া খেয়ে ফিরছিল, ফেলে যাচ্ছিল তার ভিটে-মাটিকে, কোলে ছ'মাসের সন্তান। নদী-খাল পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সীমান্তের দিকে। তার এখন গল্প শুধু সময়ের সাথে, তাঁর এখন গল্প শুধু নিজের সাথে। পাশ দিয়ে ওর মতই আরো নারী-শিশুরা হাঁটছে, হাঁটছে, কারো হাতে ছোট পোটলা, কোন কিশোরীর হাতে আহত হয়ে যাওয়া বিড়াল ছানা অথবা শালিক পাখির বাচ্চা। লেখিকা ফিরে গিয়েছেন একাত্তরের সেই ভয়ংকর সময়ে। গল্পের গাঁথুনিতে গড়ে তুলেছেন এক একটি সত্য ঘটনাকে, দিয়েছেন বুনন। আমরা চলে গিয়েছি কখনো ত্রিপুরায়, কখনো পুরান ঢাকার নারিন্দা বাজারে, নইলে বুড়িগঙ্গার ওপারে কামরঙ্গির চর হয়ে আবারো বিলেতের রাস্তায় কোন হিউম্যানিস্টের মিছিলে। এ শব্দমালা কোন গল্প নয়, নয় কোন রোমান্সের পঙক্তিমালা। এ বাক্যের সারিরা ইতিহাস, আমাদের জন্মের ইতিহাস, আমাদের মায়ের গর্ভাশয়ের ইতিহাস।