"রালফ, জ্যাক ও পিটারকিন আবিষ্কার করে এক লোকের কঙ্কাল। পাশে পড়ে আছে একটি কুড়াল। এই অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়ে যায় তারা। এই প্রবাল দ্বীপে তাদেরও কি লোকটার মতো অবস্থা হবে? রালফের বংশের প্রায় সবাই নাবিক। রালফও জাহাজে যেতে চায়। শেষ পর্যন্ত রাজি হয় বাবা-মা। জাহাজে পরিচয় হয় জ্যাক ও পিটারকিনের সঙ্গে। দুজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। প্রবাল দ্বীপের কাছাকাছি গিয়ে তাদের জাহাজ প্রচণ্ড ঝড়ের সম্মুখীন হয়। তছনছ হয়ে যায় নিমেষেই। ক্যাপ্টেন ও অন্যান্য লোকজনের কোনো চিহ্ন পায় না রালফরা। তিনজন আশ্রয় নেয় প্রবাল দ্বীপে। শুরু হয় বেঁচে থাকার লড়াই। তারা কি প্রবাল দ্বীপে টিকে থাকতে পারবে? নাকি মারা পড়বে না খেয়ে বা মানুষখেকোদের কবলে পড়ে? জানতে হলে পড়তে হবে বিখ্যাত এই উপন্যাস। "
জানা-অজানা প্রাণবৈচিত্রে্যর এক সমৃদ্ধ ভান্ডার পার্বত্য চট্টগ্রাম। এর কোনো বিস্তারিত জরিপ আজও হয়নি। লেখক সেই প্রাণবৈচিত্রে্যর সন্ধানে চষে বেড়িয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়শ্রেণি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করেছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণ, তুলেছেন বহু ছবি। পেয়েছেন বাংলাদেশের জন্য নতুন অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণীর সন্ধান। আবার চোখের সামনেই প্রাণবৈচিত্রে্যসমৃদ্ধ অনেক প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হতেও দেখেছেন তিনি। দেখেছেন কীভাবে সেখানকার বন্য প্রাণীরা ক্রমে তাদের আশ্রয় হারাচ্ছে। লেখকের সে অভিযানের অভিজ্ঞতা নিয়ে এ বই। প্রকৃতি আর তার মাঝে বাস করা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য মমতায় সিক্ত রচনাগুলো পাঠককে শখের ভ্রমণের গণ্ডি পেরিয়ে অভিজ্ঞতার এক নতুন জগতে নিয়ে যাবে। সে আগ্রহ ও সচেতনতা দেশের প্রাণবৈচিত্রে্যকে ধ্বংস থেকে রক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের জন্য নতুন বেশ কয়েক প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেই দুর্গম অরণ্য-পাহাড়ে লেখকের দুঃসাহসিক অভিযানের কাহিনি নিয়ে এ বই।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন শিল্পী মুর্তজা বশীর। ভাষাশহীদ বরকত মারা যান তাঁর চোখের সামনে। হাসপাতালে দেখেছিলেন রফিকের খুলি উড়ে যাওয়া লাশ। তিনি তখন আর্ট কলেজের ছাত্র। মার্ক্সবাদী রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখছেন। মনে শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন। ভাষা আন্দোলন হয়ে উঠল তাঁর আজীবনের প্রেরণা। পরের বছর হাসান হাফিজুর রহমানের একুশে ফেব্রুয়ারী সংকলনে প্রধান দুই রেখাচিত্রশিল্পীর একজন। সেই থেকে শুরু। এ বই ভাষা আন্দোলন নিয়ে মুর্তজা বশীরের স্মৃতি ও স্বপ্নভরা লেখা এবং শিল্পকলার সমারোহ।
তিমি ও ডলফিন প্রাণিজগতের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। বৈজ্ঞানিক তথ্যের মিশেলে রহস্যভরা তিমি ও ডলফিনের গল্প-কাহিনি নিয়ে এমন বই বাংলাদেশে এটিই প্রথম। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মনে নির্মল আনন্দ জোগানোর পাশাপাশি তাদের জানার পরিধিকেও বাড়িয়ে তুলবে এই বই। প্রাণিজগতে তিমি ও ডলফিন অনন্য বৈচিত্র্যের অধিকারী। এরা আমাদের মতো স্তন্যপায়ী প্রাণী কিন্তু বাস করে পানির গহিন অন্ধকারে। ফলে অধিকাংশ সময় এরা থাকে লোকচক্ষুর অন্তরালে। এদের সম্পর্কে মানুষের জানাশোনা যেমন অল্প তেমনি বিজ্ঞানীরাও এদের সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি জানতে পারেননি। এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার নদ-নদীতে বাস করে আকর্ষণীয় কয়েক প্রজাতির ডলফিন। আচার-আচরণ ও জেলেদের সঙ্গে এদের বিশেষ সম্পর্ক রূপকথা, পুরাকাহিনি ও লৌকিক গল্পগাথায় স্থান করে নিয়েছে। অন্যদিকে মেরুদেশের গভীর হিমশীতল জলরাশিতে বাস করে দৈত্যাকার রহস্যময় নানা জাতের তিমি ও ডলফিন। মেরুবাসী এস্কিমো ও ইনুয়িত উপজাতির সঙ্গে এদের রয়েছে জীবন-জীবিকার সম্পর্ক। অতীতে মুনাফালোভী শিকারিরা এদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। রহস্যময় এই সামুদ্রিক প্রাণী দুটি সম্পর্কে নানা বৈজ্ঞানিক তথ্যসহ অনেক জটিল কিন্তু কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় গল্পাকারে লেখক এ বইয়ে তুলে ধরেছেন। কিশোর-তারুণসহ সব বয়সী পাঠকের মধ্যে তিমি-ডলফিন সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি করবে বইটি।
সাহিত্যের ভুবনে নিবেদিতপ্রাণ দম্পতি সৈয়দ শামসুল হক ও আনোয়ারা সৈয়দ হক। সৈয়দ হককে আনোয়ারা হক একান্তে সম্ভাষণ করতেন হেমিংওয়ে নামে। এই যুগলের যাপিত জীবনের অপরূপ গাথা আর সমসময়ের সাহিত্য-শিল্পের ইতিহাস এ আখ্যানের উপজীব্য। বাস্তব আর কল্পনার মিশেলে এক ব্যতিক্রমী উপন্যাস।
একদা মাছেরও মাংস হতো। খামখেয়ালির মধ্যে একটা আরবি, আরেকটা ফারসি শব্দ। জাঁদরেল কি আসলে জেনারেল? দীর্ঘদিন ব্যবহারে চারপাশের আরও সব শব্দের ধাক্কায় শব্দের আদি অর্থ পাল্টে যায়। কোনো কোনো শব্দের অর্থ পাল্টে হয়ে যায় একেবারে উল্টো। কিছু শব্দ আমাদের ভাষায় কোথা থেকে এল, তার হদিস খুঁজে পাওয়া যায় না। এ রকম কত গল্প আর ইতিহাস শব্দের মধ্যে লুকিয়ে আছে! শব্দের অর্থ কখনো জটিল, কখনো রোমাঞ্চকর। শব্দের সঙ্গে জুড়ে আছে ইতিহাস। আমাদের খুব চেনা, প্রতিদিন আমাদের মুখে মুখে ফেরে এ রকম কিছু শব্দের মজার গল্প নিয়ে এ বই।