১৮৬৫ সালের ২৪ মার্চ | প্রশান্ত মহাসাগরের এক নির্জন দ্বীপে বিধ্বস্ত হলো ঝড়ের কবলে পড়া এক আমেরিকান বেলুন। কেউ নেই দ্বীপে। শুধু পাঁচজন অভিযাত্রী, সাথে একটি কুকুর। না আছে খাবার, না অস্ত্র, না বাড়তি জামা-কাপড়-কিছু না। শুরু হলো ক্যাপ্টেন সাইরাস হার্ডিং-এর নেতৃত্বে ওদের টিকে থাকার সংগ্রাম। অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে ওদের জীবনযাত্রা। সবাই টের পাচ্ছে, বিপদে-আপদে কে যেন অলক্ষে সাহায্য করে যাচ্ছে ওদের। একের পর এক ঘটে চলেছে রহস্যজনক কাণ্ড-কারখানা। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ওরা ছাড়াও নিশ্চয়ই আরও কেউ রয়েছে। এই দ্বীপে। কিন্তু সামনে আসে না কিছুতেই। কে সে? কোনও অপদেবতা, নাকি মহামানব?
দ্য লায়ন’স স্কিন মা’র করুণ মৃত্যুর বদলা নিতে ইংল্যাণ্ডে এসেছে ক্যারিল। উদ্দেশ্য: রাজদ্রোহিতার দায়ে ফাঁসিয়ে দেবে লর্ড অস্টারমোরকে, যিনি ওর জন্মদাতা হয়েও ওর সবচেয়ে বড় শত্রু। কিন্তু ঘটতে শুরু করল একের পর এক আজব ঘটনা। ক্যারিলের দ্বিধাবিভক্ত মন শোধ নেয়ার আগে ভালোবেসে ফেলল এক অসহায় অনাথ মেয়েকে। ওদিকে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছে ওরই সৎ ভাই, তাতে ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ড। শেষ পর্যন্ত যে-নাটকীয় ঘটনা ঘটল, সে-ব্যাপারে ঘুণাক্ষরেও কোনো ধারণা ছিল না ক্যারিলের। দক্ষিণের যাত্রী বন্দিশিবির থেকে এল পয়গাম। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষের আচরণ কংস মামার মতো। মানবিকতার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে রাজনীতির নোংরা খেলা। শেষ পর্যন্ত বাকি রইল একটা কাজই। বিপন্ন জাহাজের উদ্ধারে এগিয়ে চলল ওরা সাতজন। …মানুষগুলো কোথায়? প্রকৃতির হারামিপনা তো রয়েছেই, ষোলো কলা পূর্ণ করতে মুখ খিচাল রক্তলোভীর দল। প্রাণ বাঁচানোই এখন দায়। এত কিছু সামলে পাবে কি অভিযাত্রীরা সেই মানুষটির হদিস- যার আছে দুই জিভ, দুই হৃদপিণ্ড?
হার্ড টাইম্স্: যান্ত্রিক শহর কোকটাউন। সত্য আর ন্যায় এখানকার চালিকাশক্তি। মানুষের সুকুমার মনোবৃত্তির কোন স্থান এখানে নেই। কিন্তু শহরের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আসলে কতটা সত্যবাদী আর ন্যায়নিষ্ঠ? ক্যাপ্টেন গ্র্যাণ্ট’স চিলড্রেন:সাগরে ধরা পড়ল প্রকা- হাঙর। হাঙরের পেটে মিলল এক বোতল। ওটার ভেতরে পাওয়া গেল বার্তা। নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনটি ভাষায় এস.ও. এস. পাঠিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন গ্র্যাণ্ট। স্বদেশী ক্যাপ্টেনের খোঁজে, জাহাজ নিয়ে সদলবলে বেরিয়ে পড়লেন লর্ড এডওয়ার্ড। শুরু হলো রুদ্ধশ্বাস, রোমাঞ্চকর অভিযান। হেইডি:পাঁচ বছরের এতিম মেয়ে হেইডি। খালার কাছে মানুষ। ওকে পাহাড়ে দাদুর কাছে রেখে এল খালা। দাদু অসামাজিক, অমিশুক। পরে আবার খালা এসে হেইডিকে নিয়ে গেল ফ্র্যাঙ্কফুর্ট শহরে। ওখানে কী-কী ঘটল? নিজের সুখ-দুঃখময় জীবনে কীভাবে মানুষকে মায়ার বাঁধনে বাঁধল ছোট্ট, নিষ্পাপ মেয়েটা?