উর্দু-ফারসি কবি মির্জা গালিবকে নিয়ে এ উপন্যাস। ইংরেজদের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহে সর্বস্ব হারানো এক রাজপুত তরুণ রুসওয়া, যার আজন্ম সাধ মির্জা গালিবের দর্শন পাওয়া। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে সে কানপুর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়। ধ্বংসস্তূপ দিল্লিতে কবির সঙ্গে তার দেখা হয়। ইতিহাসের সেই ক্রান্তিলগ্নে রুসওয়ার চোখে দেখা তখনকার দিল্লি, সেখানকার যমুনাঘাট, চাঁদনি চওক, জামা মসজিদের বাজার আর সাবেকি দিল্লির সংস্কৃতির সঙ্গে আজকের পাঠকের পরিচয় ঘটাবে এ বই। গালিব নিজেকে বলেছেন অনেক দূরের নক্ষত্র। তাঁর প্রবল ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্য আর উচ্ছলতার সঙ্গে অদ্ভুত এক উদাসীনতার ছবিও ফুটে উঠেছে এ উপন্যাসে। সঙ্গে আছে গালিবসহ অনেক কবির মনোগ্রাহী বেশ কিছু শের।
মান্টো যেন গালিবের পরিণতি। সাদত হাসান মান্টোর লেখা মির্জা গালিব এক অনন্যসাধারণ গল্পকারের কলমে উর্দু সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিকে নিয়ে চিত্রনাট্য। সঙ্গে আছে দুজনের জীবন ও জগত্ নিয়ে আলোচনা। মোগল ভারতের শ্রেষ্ঠতম অর্জন উর্দু-ফারসি কবি মির্জা গালিব (১৭৯৭-১৮৬৯)। ১৮৫৭ সালের ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রত্যক্ষ সাক্ষী তিনি। আর ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মধ্য দিয়ে ইংরেজ শাসনের অবসানের সাক্ষী সাদত হাসান মান্টো। মির্জা গালিবের একান্ত অনুরক্ত ছিলেন মান্টো। নিজের সমাধিফলক লিখেছেন গালিবের কবিতা দিয়ে। মান্টো গালিবকে নিয়ে একটি সিনেমার কাহিনিও লিখেছিলেন। দাঙ্গাবিক্ষুব্ধ বোম্বেতে সেই ছবি কেউ বানাতে রাজি হয়নি। অনেক পরে তৈরি সেই ছবি বক্স অফিস মাতায়। ঠিক যখন কিনা মান্টো মারা যান কপর্দকশূন্য অবস্থায়। মূল উর্দু থেকে সেই ছবির চিত্রনাট্যের অনুবাদ এই বই। সঙ্গে আছে চিত্রনাট্যের প্রসঙ্গ ধরে ব্যক্তি গালিব ও মান্টো আর তাঁদের সময়ের ভারতবর্ষের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা।