আশফাক ফাহিম হন্যে হয়ে পূর্ণতাকে খুঁজছেন। তাঁর লেখার একটি বিশেষ জায়গায় তার খুব প্রয়োজন। একটি বাস্তব ও কষ্টমাখা গল্পটির জন্যই কি এতোটা অপেক্ষা। পুর্ণতার সাথে দেখা হওয়াটা জরুরী। দীর্ঘ এক মাস পরে তিনি বাসা থেকে বের হলেন। রিকশা নিতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন সেই মেয়েটি..... এভাবেই এগুতে থাকে গল্প। গল্প নাকি সত্যি। আরিফুর রহমানের 'জানি সে আসবে না' উপন্যাসটি একটি সত্যি ও কষ্টভরা জীবনের গল্প। এমন একটা গল্প যেটা শুনলেই গা শিউরে ওঠে। যে কেউ গল্পটা শুনলে বলবে- ধুর, এটা আবার হয় নাকি? কিন্তু উপন্যাসের আখ্যানের মতই এই লেখককে গল্পটি বলেছেন গল্পের প্রধান চরিত্র। গল্পকার দেশের বাইরে থাকলেও তাঁর যোগাযোগের নাম্বার খুঁজে বের করে ফোন করেছে সে। তারপর একে একে তার জীবনের গল্পটি বলেছে। একসময় বলেছে- লেখক, গল্পটি আপনি পাঠককে জানান। তাদের বিশ্বাস করিয়ে ছাড়ুন, এমনও হতে পারে, এমনও হয় পৃথিবীতে। একদিন পূর্ণতা সেন দাঁড়ায় নদীটির ধারে। যে নদী আশফাক ফাহিম খুব পছন্দ করেছিলো। বৃষ্টির সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। কিন্তু তার শীত লাগছে না। অদ্ভুত এক শিহরন হচ্ছে।" জানি সে আসবে না- তেমনই এক শিহরনের গল্প, অপেক্ষার গল্প।