মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে অন্য প্রাণীর ওপর প্রভুত্ব বিস্তার করে আসছে। বিভিন্ন পরিবেশে মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন প্রাণীর একধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মানুষের বন্ধুবান্ধব প্রাণীরা। মানুষের কল্যাণে প্রাণীদের অবদান কম নয়। পৃথিবীর স্থলভাগে এবং বিশাল জলরাশিতে ছড়িয়ে আছে হরেক রকমের অমেরুদণ্ডী ও মেরুদণ্ডী প্রাণী। ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় সর্বত্রই প্রাণীর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। উভয় পরিবেশে পৃথিবীজুড়ে প্রাণী প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষধিক। মানুষই সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমান। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে খুদে প্রাণীদের বুদ্ধি দেখে অবাক হই। স্বাধীনভাবে বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়, আবার নিজেরাই আত্মরক্ষার কৌশলও রপ্ত করে। সকল প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার সাথে খাপ খাওয়াবার ক্ষমতা তাদের রয়েছে। বাসা বানাতে, খাবার সংগ্রহে, শত্রুর হাত থেকে বাঁচতে যে কায়দা-কানুন তারা অবলম্বন করে তা দেখে মানুষেরও তাক লেগে যাবে। চালাকিতেও খুদে প্রাণীরা তৎপর। শিকারের পেছনে দৌড়ে কিভাবে খাবারের ব্যবস্থা করতে হয় খুদে প্রাণীদের কাছ থেকে তা আমরা জানব। খুদে পাখিরা তাদের শারীরিক কসরত দেখিয়ে আমাদের আনন্দ দেয়।
"পৃথিবীর কোনো মানুষ কখনো ডাইনোসর নামের প্রাণীটিকে দেখেনি। প্রাগৈতিহাসিক এই প্রাণী সম্পর্কে আমরা যা জানি তার পুরোটাই বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত ডাইনোসরের জীবাশ্মে পরিণত হওয়া ফসিল থেকে। আনুমানিক ২৩০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর বুকে ডাইনোসরের বিচরণ শুরু, আর ডাইনোসরের সর্বশেষ সদস্যের বিলুপ্তি ঘটেছে আনুমানিক ৬০ মিলিয়ন বছর আগে। পৃথিবীর বুকে বিশালাকৃতির ডাইনোসরের অনেক প্রজাতিই বন্ধুসুলভ দানব হিসেবে বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত ৩৫০ প্রজাতির ডাইনোসরের কথা বলেছেন। বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন, ডাইনোসর খুব একটা চালাক প্রাণী ছিল না। কিন্তু তারপরও তারা বছরের পর বছর পৃথিবীতে টিকে ছিল। সম্ভবত ডাইনোসররা পৃথিবীর ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, অতিরিক্ত ঠাণ্ডাসহ প্রতিকূল আবহাওয়ার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেনি। আর সে কারণেই পৃথিবী কাঁপিয়ে বেড়ানো ডাইনোসরদের একসময় বিদায় নিতে হয়েছে। মানুষের কাছে যুগ যুগ ধরে ডাইনোসর একটি রহস্যময় প্রাণীর নাম। বিজ্ঞানীরা সে রহস্যের সমাধানে হয়তো কোনোদিনই পৌঁছাতে পারবে না। তবুও ডাইনোসর নামটি বোধকরি বর্তমান পৃথিবীর কোনো মানুষেরই অজানা নয়।
ছোটদের বিজ্ঞানপিডিয়া' মজার মজার তথ্য, রঙিন চিত্র, মজার মজার গল্প এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় ঠাসা। এসব কিছুই তোমাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আনন্দে ডুবিয়ে রাখবে। বইয়ের ভেতরের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কলাকৌশলে বেশ কিছু কার্টুন চরিত্র বারবার ব্যবহৃত হয়েছে। আনা হয়েছে পৃথিবী বিখ্যাত বেশ কিছু গল্পের চরিত্রও। আদিম পৃথিবীর ভয়ঙ্কর ডাইনোসর সম্পর্কে জানতে চায় প্রতিটি শিশু। যেমন জানার ইচ্ছে আছে তোমারও। কীভাবে পৃথিবীতে ডাইনোসরের আবির্ভাব হয়েছিল, তাদের চালচলন কেমন ছিল এবং তারা কীভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেল তার সব কাহিনী আছে এই বইটিতে। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে।