হার্ড টাইম্স্: যান্ত্রিক শহর কোকটাউন। সত্য আর ন্যায় এখানকার চালিকাশক্তি। মানুষের সুকুমার মনোবৃত্তির কোন স্থান এখানে নেই। কিন্তু শহরের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আসলে কতটা সত্যবাদী আর ন্যায়নিষ্ঠ? ক্যাপ্টেন গ্র্যাণ্ট’স চিলড্রেন:সাগরে ধরা পড়ল প্রকা- হাঙর। হাঙরের পেটে মিলল এক বোতল। ওটার ভেতরে পাওয়া গেল বার্তা। নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনটি ভাষায় এস.ও. এস. পাঠিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন গ্র্যাণ্ট। স্বদেশী ক্যাপ্টেনের খোঁজে, জাহাজ নিয়ে সদলবলে বেরিয়ে পড়লেন লর্ড এডওয়ার্ড। শুরু হলো রুদ্ধশ্বাস, রোমাঞ্চকর অভিযান। হেইডি:পাঁচ বছরের এতিম মেয়ে হেইডি। খালার কাছে মানুষ। ওকে পাহাড়ে দাদুর কাছে রেখে এল খালা। দাদু অসামাজিক, অমিশুক। পরে আবার খালা এসে হেইডিকে নিয়ে গেল ফ্র্যাঙ্কফুর্ট শহরে। ওখানে কী-কী ঘটল? নিজের সুখ-দুঃখময় জীবনে কীভাবে মানুষকে মায়ার বাঁধনে বাঁধল ছোট্ট, নিষ্পাপ মেয়েটা?
ওজের জাদুকর ক্যানসাসের দিগন্তজোড়া রুক্ষ তৃণপ্রান্তরের বুকে বাস করে ছোট্ট মেয়ে ডরোথি। ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় একদিন তাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল দূরে, বহুদূরে–ধূসর বাস্তব থেকে কল্পনার বহুবর্ণ বিচিত্র জগতে। বাড়ি ফেরার কোন উপায় তার জানা নেই। সাহায্য করতে পারে শুধু একজন–মহাশক্তিমান ভয়াল ওজ। হলদে ইটের রাস্তা ধরে শত বাধা-বিঘœ পেরিয়ে যেতে হবে তারই কাছে। শুরু হলো তার আশ্চর্য অভিযান। হোয়াইট ফ্যাং হোয়াইট ফ্যাং। সুমেরুর এক অদ্ভুত কুকুর। না কুকুর, না নেকড়ে। কারণ, মা তার কুকুর হলেও বাপ ছিল জাত নেকড়ে। জন্মসূত্রে প্রাপ্ত মিশ্র-স্বভাব তাকে করে তুলেছে বদমেজাজী, নিঃসঙ্গ, হিংস্র। কিন্তু ভয়াবহ এই হিংস্রতার মাঝেও যে মানুষটিকে ভাল লেগে যায় তার জন্যে প্রাণ দিতেও কুণ্ঠা নেই। আ কানেক্টিকাট ইয়াংকী ইন কিং আর্থারস কোর্ট ঊনবিংশ শতাব্দীতে মাথায় শাবলের বাড়ি খেয়ে হ্যাঙ্ক মর্গানের জ্ঞান ফিরল রাজা আর্থারের ইংল্যান্ডে। কানেক্টিকাট ইয়াংকী, অর্থাৎ হ্যাঙ্ক মর্গান, তার সমস্ত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ব্যবহার করে রাজার প্রধানমন্ত্রী বনে গেল, বুদ্ধির খেলায় হার মানাল ঝানু জাদুকর মার্লিনকে, এবং শেষ পর্যন্ত জয় করে নিল রাজ্য? কিন্তু কানেক্টিকাটে আর কোনদিন ফেরা হবে কি তার?
দ্য বন্ডম্যান/সার টমাস হেনরি হল কেইন হতভাগিনী র্যাচেল বলে গেছে, ‘তোমার ওপর আমার শেষ আদেশ, হত্যা করবে তুমি স্টিফেনকে, ওর ছেলেকে। ওদের রক্ত ছাড়া আর কোনও কিছুতেই তৃপ্তি হবে না আমার আত্মার। শুনেছ? হত্যা করবে তুমি ওদের। হত্যা!’ বিবেকের টুঁটি চেপে ধরে বাবা আর সৎ ভাইকে হত্যার প্রস্তুতি নিল মাতৃভক্ত জেসন। আসুন, পাঠক, আমরাও যাই আইসল্যান্ড আর ম্যান দ্বীপে, দেখি সেখানে আসলে কী হচ্ছে। নীল অন্ধকার/ফ্র্যাঙ্কো পোলি আমি চলেছি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে, আর্নস্ট হেমিংওয়ের সেই নীল অন্ধকারের দেশে। তখনও জানি না ছোট্ট ডিঙি নিয়ে রাত-বিরেতে সাগরে যেতে হবে হাঙর শিকারে। বলুন তো, পাঠক, কোন্ তিমির পেটে আছে অসম্ভব দামি কস্তুরী? শুধু একটা ছোরা সম্বল করে লড়া যায় হাঙরের সঙ্গে? নৌকোর পাশে ভেসে উঠেছে বিশাল মান্টা রে! এখন? দি অ্যামফিবিয়ান ম্যান/আলেকযান্ডার বেলায়েভ সমুদ্রের সঙ্গে জড়িত সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল, আজব এক দানবের আবির্ভাব হয়েছে সাগরে। কী ঘটছে রহস্যময় ডাক্তার সালভাদরের বাড়ির চার দেয়ালের ভেতর? পুকুরের পানির তলায় বিশ্রাম নিচ্ছে কেন বানরটা? কেন হঠাৎ ডাকাতের আক্রমণ? কেন কী ঘটছে জানতে চাইলে বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম রুশ কল্পকাহিনী এই বইটি না পড়ে কোনও উপায় নেই।
বোতল শয়তান/ রবার্ট লুই স্টিভেনসন আজব এক বোতল, দারুণ তার ক্ষমতা। অনেক দিতে পারে যেমন, তেমনি কেড়েও নেয়- ওটা বেচে দিতে না পারলে। আর নিজের ইচ্ছেমত দামে বেচলে চলবে না, কমে বেচতে হবে।… বিপদে পড়ে গেল এক দম্পতি। সাইলাস মারনার/ জর্জ এলিয়ট সৎ পথে থাকতে চেয়েছিল মারনার, তবে সে জন্য চরম মূল্য দিতে হলো তাকে। কে চুরি করল তার এতদিনের জমানো সোনা? ক্যাপ্টেন ব্লাড/ রাফায়েল সাবাতিনি ডাক্তার পিটার ব্লাডকে অন্যায় ভাবে বন্দি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বেঁচে দেয়া হলো। ক্রীতদাস হিসেবে। মনিবের জুলুম সইতে পারল না সে। সহবন্দীদের সহায়তায় একটি স্পানিশ জাহাজ দখল করে জলদস্যু বলে গেল। কিন্তু এমন জীবন তো চাইনি ক্যাপ্টেন ব্লাড ।গভর্নরের ভাতিজিকে দিকে ভালোবেসেছে সে। মেয়েটিকে কীভাবে বোঝাবে বোম্বেটে জীবন বাধ্য হয়ে বেছে নিতে হয়েছে তাকে? অ্যারাবেলা কি আদৌ বুঝবে ব্লাডকে? ভালবাসবে? ওল্ড র্যামন/ জ্যাক শেফারবুড়ো র্যামনের সঙ্গে কিশোর ছেলেকে পাঠিয়েছে বাবা হাতে কলমে শিক্ষা নেয়ার জন্য। এক পাল এক পাল ভেড়া নিয়ে পার হতে হবে দুস্তর মরু। কিন্তু ওত পেতে থাকা ধূলিঝড়, নেকড়ে আর র্যাটলস্নেক আর অন্যান্য বিপদ-আপদ বিনা বাধায় কেন পেরোতে দেবে ওদের? দিল না। এবং প্রতি পদে পদে ঠেকে শিখতে হলো কিশোরটিকে। যুদ্ধক্ষেত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ল বুড়ো র্যামন আর দুঃসাহসী দুটি কুকুর। অ্যাডভেঞ্চার, ভালোবাসা ও প্রকৃতির এক চলমান চিরন্তন উপাখ্যান।
ফার্মার বয় ছোট্ট ছেলে আলমানযো। সবে নয় বছর বয়স। বাবার খামার-বাড়িতে বড় হয়ে উঠছে। ভাইবোনদের সঙ্গে ওকেও প্রচুর কাজ করতে হয়। কিন্তু ভুলেও ওকে শহুরে জীবনের আরাম-আয়েশের লোভ দেখিয়ো না-ও মাথা নাড়বে। লিটল হাউস অন দ্য প্রেয়ারি ওই একই সময়ে ছোট্ট মেয়ে লরা বাবা-মার সঙ্গে গোটা আমেরিকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে স্থায়ী বসতির সন্ধানে। বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে ও। জানে না, একদিন দেখা হবে আলমানযোর সঙ্গে। অন দ্য বাঙ্কস অভ প্লাম ক্রীক প্লাম ক্রীকের তীরে বসতি গড়ল ওরা ইণ্ডিয়ান টেরিটোরি থেকে তাড়া খেয়ে ফিরে এসে। কিন্তু এখানে আকাশ থেকে নামল শত্ৰু-কোটিকোটি ঘাসফড়িং। সর্বস্বান্ত করে দিল বাবাকে। জীবন থেমে থাকে না। আরও পশ্চিমে চলল ওরা। লরা কি দেখা পেল আলমানযাের? লিটল টাউন অন দ্য প্রেয়ারি ডাকোটার শীত কাকে বলে টের পাবে তোমরা দ্য লঙ উইন্টারে। সাত মাস ধরে তুষার-ঝড়! কল্পনা করা যায়? শহরের সব খাবার শেষ, কী করে টিকে থাকবে ওরা ছয়জন? আপমানযো বাড়িয়ে দিল সাহায্যের হাত।
ইংল্যাণ্ডের নটিংহাম শহরের কাছেই ছিল বিশাল শেরউড জঙ্গল। সেই জঙ্গলে আস্তানা গেড়েছিল দুর্দান্ত দুঃসাহসী এক মহৎ-হৃদয় দস্যু-রবিন হুড ও তার সাত- কুড়ি দুর্ধর্ষ অনুচর। অত্যাচারী নর্মান শাসক, ব্যবসায়ী মোহান্তদের প্রজা-নিপীড়ক আর অন্তরাত্মা জমিদার, অর্থ-লোলুপ কাঁপিয়ে অসৎ বিশপ- দিয়েছিল রবিন; কিন্তু আবার লুষ্ঠিত অর্থ দীন দুখীদের মধ্যে বিতরণের মাধ্যমে জয় করে নিয়েছিল সাধারণ মানুষের অন্তর। বিপদে সাহায্য চেয়ে কেউ কোনদিন ফিরে আসেনি তার দুয়ার থেকে। আসুন, লেখকের সাথে গিয়ে আমরাও ঘুরে আসি গভীর গহীন সেই শেরউড জঙ্গল থেকে।